সময়নিউজবিডি ডেস্ক রিপোর্ট
উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেসব সংসদ সদস্য (এমপি) অবস্থান নিয়েছিলেন আগামীতে তারা দলের মনোনয়ন পাবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তিনি একথা জানান। একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষে সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের এ সভা হয়।
সভা শেষে সংসদীয় দলের বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
এটা ছিলো একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের প্রথম সভা। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
সভায় উপস্থিতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন, বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আবার নৌকার প্রার্থীর অনেকে বিরোধিতা করেছেন।
‘নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়ে নিজ এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে যারা নৌকার বিরোধিতা করেছেন তাদের ব্যাপারে তো আমার দেখতেই হবে। যারা নৌকার বিরোধিতা করেছেন তারা আগামীতে আর কখনই নৌকার মনোনয়ন পাবেন না। আগামীকাল (শুক্রবার) দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আছে সেখানে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের জন্য এমপিদের যার যার নিজ এলাকায় যেতে হবে। যাতে বাজেট বাস্তবায়ন হয় সেজন্য এলাকার উন্নয়ন কাজ তরান্বিত করতে সহযোগিতা করতে হবে।
‘যার যার এলাকায় যান, দলীয় কর্মকাণ্ডে মনোযোগী হন, নেতা-কর্মীসহ জনগণের পাশে থাকুন। দলীয় কোন্দলে জড়াবে না না। কোনোভাবেই কোন্দল বা দ্বন্দ্বে জড়িত হবেন না।’
সাবেক এক মন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে তার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলের মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন। বিরোধিতা করতে গিয়ে সংঘর্ষে একজন কর্মীর প্রাণ গেছে। এসব কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
সভায় সংসদ সদস্যদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এমপিদের নিজ নিজ এলাকায় ও সংসদের হাউজে ডিসিপ্লিন হতে হবে।
‘এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে রাখতে হবে। দলীয় কোন্দল থাকলে সেটা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে হবে। সংসদীয় দলের ফান্ডে এমপিরা অনেকেই চাঁদা পরিশোধ করেননি। তাদের চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যেসব জেলা বা উপজেলায় নিজস্ব দলীয় কার্যালয় নেই, দ্রুত সেখানে কার্যালয় নির্মাণ করতে হবে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা রিপোর্ট দেবেন।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর যারা এখনও মন্ত্রী-এমপির ফ্ল্যাট ছাড়েননি তাদের দ্রুত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হবে। সাবেক মন্ত্রী অনেকে মন্ত্রীর ফ্ল্যাট ছাড়েননি, আবার মন্ত্রী হওয়ার পরও অনেকে এমপির ফ্ল্যাট ছাড়েননি তাদের ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হবে। গার্ড, ড্রাইভার এদের জন্য ফ্ল্যাট না। যারা মন্ত্রী হিসেবে বাড়ি পেয়েছেন তারা এমপির ফ্ল্যাট দ্রুত ছেড়ে দিন।
সভায় আবুল কালাম আজাদ, মমতাজ বেগম, শামীম ওসমান, মন্নুজান সুফিয়ান, আতিউর রহমান আতিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply